অর্থনীতির গতি সচল করাই প্রধান লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা
১০ আগস্ট ২০২৪ ১৭:০৫
ঢাকা: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি যে মন্থর গতিতে চলছে, তা সচল করাই আমার প্রথম লক্ষ্য।
তিনি বলেন, একটি ক্রান্তিলগ্নে আমাকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা। সেখানে শুধু রাস্তাঘাটই নয়, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাও অনুকূলে আনা দরকার।
শনিবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে কাজে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে প্রধান চ্যালেঞ্জ ব্যাংক খাতকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তো আছেই। অর্থনীতি যদি একেবারে থমকে যায় গাড়ির মতো সেটা স্টার্ট করতে কিন্তু অনেক সময় লাগে। আমরা চাচ্ছি অর্থনীতির যে গতি মন্থর হয়েছে সেটা সচল করতে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ কর্মঠ শুধু ভাল ব্যবস্থাপনা দরকার। সামনের দিনের জন্য একটা মসৃণ পথ করে যাবো, আমাদের তো সব সময় থাকার সুযোগ নেই। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা দরকার।
দেশের ক্রান্তি লগ্নে আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, এই মুহূর্তে দরকার দেশের আইন শৃঙ্খলা ঠিক করা। এটা যদি না করতে পারি তাহলে পরিস্থিতি অন্যদিকে চলে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ (আইনশৃঙ্খলা) বলতে শুধু রাস্তাঘাট ঠিক করা না, ব্যাংক গুলো চালু করা, পোর্টগুলোকে সচল করা ইত্যাদি কাজ দ্রুত শুরু করা।
এ খাতে অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমার তো মোটামুটি অভিজ্ঞতা আছে। মাস্টারি থেকে সব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনারা (সাংবাদিক) আমাদের সাজেশন দেবেন।
ব্যাংকিং কমিশনের প্রশ্নে বলেন, আগে ব্যাংক সংস্কার দরকার। ব্যাংকের ওপরে আস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম চালু হোক তারপরে সংস্কারে হাত দেবো।
লাইনচ্যুত অর্থনীতিকে লাইনে আনতে কত সময় লাগতে পারে সে প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মনে হয় বেসিক কাজ গুলো করতে বেশি সময় লাগতে পারে। একেবারে তো লাইনচ্যুত হয়নি। মাঝে একটু গতি কমেছে আমি বলবো মন্থর গতি হয়েছে। সেটা সচল করাই লক্ষ্য।
প্রধান চ্যালেঞ্জ কী এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতির মতো বিষয়গুলো ছাড়াও অর্থনীতিকে ঠিক করতে হবে। মানুষ উন্নয়নের সুফল পায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রথ বেশি হয়েছে। আমি অর্থনীতির ছাত্র, গ্রথ কোথায় সেটা দেখতে হবে। আমরা চাচ্ছি সমতাভিত্তিক, ন্যায্য আয় বাড়ুক। মানুষের জীবন জিবিকা ঠিক রাখার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর পদত্যাগ করেছেন সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি সেনসেটিভ। গ্রহণ করার বিষয়ে আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করবো কাল মিটিং আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা ব্যাংকের রুলস সেটা মানা হয়নি, যারা মানাবেন তারা মানেনি, যাদের মানা উচিত তারাও মানেননি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কীনা সে প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনি এ বিষয়ে কথা বলবোনা। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বলেন পর্যাপ্ত তথ্য লাগবে।
সারাবাংলা/জেআর/এনইউ