জেলা পর্যায়ে শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সম্পন্ন
৩ জুন ২০১৮ ১৯:১৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করতে সারাদেশে ৬৪ জেলায় ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে জেলা পর্যায়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার-রোববার (২ থেকে ৩ জুন) দুদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ৬৪ জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৪০০ জন প্রতিযোগী জেলা পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
স্ক্র্যাচ ও পাইথন নামে দুটি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিভাগে ২৭০০ জন করে প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। প্রতি তিন জন শিক্ষার্থী মিলে একটি করে টিম গঠন করা হলেও প্রত্যেক শিক্ষার্থী এককভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
গত ১২ থেকে ৩০ মে সারাদেশের ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে পাইথন ও স্ক্র্যাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৬ ও ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষকদের জন্য দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে ৩৬০ জন আইসিটি শিক্ষক এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কোঅর্ডিনেটরেরা প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের ল্যাব প্রশিক্ষণ শেষে ২ জুন থেকে ৩ জুন জেলা পর্যায়ে স্ক্র্যাচ ও পাইথন প্রতিযোগিতার সম্পন্ন হয়। জেলাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় দুদিনব্যাপী ‘পাইথনভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ এবং দুদিনের ‘স্ক্র্যাচভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ আয়োজন করা হবে।
এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে থেকে সেরা প্রকল্পগুলোকে সমাপনী এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হবে।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রাথমিক স্তর থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষণের ঘোষণা দেন। এরপর দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ আগামীর জাতি গড়ার লক্ষ্যে, শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিংয়ে অনুপ্রেরণা দিতে এই প্রতিযোগিতা। বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস)-এর ইনসটিটিউট অব টেকনোলোজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম)-এর সহায়তায় প্রথম শুরু করেছিলাম ২০১৭ সালে, তখনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৯৮টি স্কুলে তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম স্ক্র্যাচসহ বিভিন্ন বিষয়ে।’
সিআরআই-এর সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান ‘এবারই প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্ক্র্যাচ’ এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পাইথন’ রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত প্রতিবছরই হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে ‘সি’ ও ‘সি++’ ভিত্তিক কিছু কুইজ এবং কিছু প্রবলেম সলভ করার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।’
সারাবাংলা/এমআই