নাহিদ-আসিফের কাছে বঞ্চনার কথা শোনালেন কর্মকর্তারা
১১ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫২
ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার (১১ আগস্ট) প্রথম কাজে যোগ দেন উপদেষ্টারা। সচিবালয়ে দফতরে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন গণ আন্দোলনের নেতৃত্ব থেকে সরকারের দায়িত্বে আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসিফ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এবং নাহিদ ইসলাম ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আসেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিবদের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। সরকারের আস্থাভাজন হতে না পারার কারণে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন বলে অনেকে নতুন দুই উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ করতে থাকেন।
দুপুর ১২টায় প্রধান বিচারপতিসহ নতুন কয়েকজন উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানের কারণে দফতর ছেড়ে বঙ্গভবনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তাকে আরও কিছুক্ষণ ধরে রেখে ছবি তোলার জন্য ও ফুল দেওয়ার চেষ্টা করেন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান নতুন উপদেষ্টাকে নিয়ে বঙ্গভবনের দিকে যান।
এদিকে নিজ দফতরে বসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কুশল বিনিময় করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় বিসিএস ১৩ ও ১৫তম ব্যাচের বিভিন্ন দফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা উপদেষ্টার কাছে নিজেদের বঞ্চনার কথা শোনান। এ সময় আসিফের চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে।
পরে আসিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশ একটি কঠিন সময় পার করছে। এখন আমাদের কাছে অগ্রাধিকার হচ্ছে জাতীয়ভাবে আইনশৃঙখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।’
তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে এসে কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখে অনেক ভালো লাগছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে। আমরা এটির নাম জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে একটা ম্যাসাকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িয়ে আছে। সহস্র ছাত্র জনতা মারা গিয়েছে। এর সঙ্গে শেখ হাসিনা সরাসরি যুক্ত। এটি প্রতিটি মন্ত্রণালয়েই করা হবে।’
‘নারী টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়ে বিসিবির সঙ্গে কথা হয়েছে। সিকিউরিটি এনশিউর করার জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনেক কিছু করার আছে। আজকে আমি ইউনুস স্যারের সঙ্গে কথা বলব। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। আমরা ইউএনের সঙ্গেও কথা বলব যেন তারা সহযোগিতা করে। কিছু দেশে ট্রাভেল রেসট্রিকশন আছে, সেগুলো যেন সমাধান করা যায়’ বলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বিসিবিতে পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি অটোনমাস প্রতিষ্ঠান তাই সেখানে আমরা কিছু করতে পারব না। আমরা বিসিবি থেকে সাজেশান নিতে পারব, তাদেরকে সাজেশান দিতে পারব। বিসিবি সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকাতে পরিচালকরা আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে কী পরিবর্তন আনতে পারেন সেই পরামর্শ আমরা দিয়েছি।’
সারাবাংলা/জেআর/একে