রাঙ্গামাটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ সমাবেশ, ৮ দফা দাবি
১২ আগস্ট ২০২৪ ২০:১৬
রাঙ্গামাটি: দেশজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময়ে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, যখনই দেশে কোনো পালাবদল শুরু হয়, তখনই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা শুরু করে মৌলবাদী গোষ্ঠী। ১৯৭১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে যেসব সংখ্যালঘু নিপীড়ন, হত্যা হয়েছে তার কোনো বিচার না হওয়ায় বারবার একটি গোষ্ঠী সনাতনীদের ওপর হামলার সাহস দেখাচ্ছে। একটি গোষ্ঠী চায় এদেশ থেকে সনাতনীরা চলে যাক, সনাতনী শূন্য করার নীলনকশা নিয়ে তারা কাজ করছে কিন্তু এদেশ ছেড়ে কোনো সনাতনী কোথাও যাবে না বলেও শপথ করেন বক্তারা।
এসময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিচারসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের রাঙ্গামাটির সমন্বয়ক মিশু দে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজিত শীল ও রাজু শীল ও রাধা রাসবিহারী মন্দিরের অধ্যক্ষ নিতাই নুপুর দাস ব্রহ্মচারী।
আট দফা দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন; ক্ষতিগ্রস্ততে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা; সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করা; সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রণালয় গঠন; হিন্দু, বৌদ্ধ ও খিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশনে উন্নীতকরণ; দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ; সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন, শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫দিন সরকারি ছুটি দেওয়ার দাবি করা হয়। এই আট দফার বাইরেও পার্বত্য অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন করে নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
সারাবাংলা/এনইউ