Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএফআইইউ ও দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো অপরিহার্য’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৯

ঢাকা: সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে যুক্তরাজ্যে বিপুল অঘোষিত সম্পদের তথ্য প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিষয়টি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের, বিশেষ করে নেতৃত্বের পর্যায়ে দলীয়করণ ও অকার্যকরতার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নজির হিসেবে উল্লেখ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

বিজ্ঞাপন

দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজানোর কোনো বিকল্প নেই মর্মে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি)‘র পক্ষ থেকে সংস্থাটির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

গত ডিসেম্বর থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দেশের বাইরে অপ্রদর্শিত সম্পদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ ও ব্যাপক জনউদ্বেগ স্বত্ত্বেও কোনো ধরনের অগ্রগতি দেখা যায়নি। বিষয়টিকে চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গত বছর ২৬ ডিসেম্বর “হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি’ শীর্ষক টিআইবির প্রতিবেদন ও ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং পরবর্তীতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ফলে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যে ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ও চলমান ব্যবসা সম্পর্কে দেশবাসীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত হয়েছে।

পরবর্তীতে টিআই-ইউকে এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা এ সংক্রান্ত সকল সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত, প্রমাণ ও নথি টিআই-ইউকে ও টিআইবির উদ্যোগে বিএফআইইউ, দুদক, পুলিশের সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয় এ বছরের ৪ মার্চ।

সব তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকা স্বত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সরকার পতনের পর ও বিএফআইইউ এর প্রধানের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, যা ইতিবাচক বলে বিবেচিত হতে পারে। তবে প্রশ্ন হলো, সকল তথ্য-প্রমাণ হাতে থাকা স্বত্ত্বেও এতো দিনেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?’

বিজ্ঞাপন

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘এমন নিষ্ক্রিয়তা কি প্রমাণ করে না- সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে দলীয়করণের মাধ্যমে অকার্যকর করে রাখা হয়েছিল।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

টিআইবি দুর্নীতি সাবেক ভূমিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর