Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারত-আওয়ামী লীগের ‘দালালদের’ হুঁশিয়ার করলেন বৈষম্যবিরোধীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কেন্দ্রঘোষিত ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীতে রোডমার্চ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন। কর্মসূচির শেষপর্যায়ে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে এবং ভারত ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানে-স্লোগানে মুখর ছিল পুরো কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে নগরীর ষোলশহর থেকে রোডমার্চ করে মুরাদপুরে গিয়ে নিহতদের স্মরণ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

এদিন বিকেল ৩টার দিকে সপ্তাহব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’র অংশ হিসেবে নগরীর ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ষোলশহর স্টেশন থেকে দুই নম্বর গেইট হয়ে চারটার দিকে মুরাদপুরে গিয়ে পৌঁছান। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।

মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার, সাবধান, আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’- এ ধরণের বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রোডমার্চ কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। প্রশাসনের সব কাঠামো থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ করা কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে। শিক্ষার্থী হত্যার বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।’

গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য রাস্তায় নামেন সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দেন। গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হন। পরে আন্দোলন করতে গিয়ে আরও তিন জন নিহত হন। এর পর সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতায় হাটহাজারী উপজেলায় একজন ও চট্টগ্রাম কারাগারের সামনে আরও একজন নিহত হন।

এদিকে, সোমবার (১২ আগস্ট) চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সাত দিন সারা দেশে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ পালনের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আবু বাকের মজুমদার।

চার দফা দাবি হলো-

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হামলা-মামলা-হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দিয়েছেন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ দালাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভারত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর