ঢাকা: ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শমী কায়সার। নিজের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
শমী কায়সার গত তিন মেয়াদ ধরে ই-ক্যাব সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ২৭ জুলাই দেশের ই-কর্মাস ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের নতুন নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ই-ক্যাবের অফিশিয়াল প্যাডে ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিষদ বরাবর পদত্যাগপত্র লিখেছেন শমী। অনুরোধ করেছেন, পদত্যাগপত্রটি যেন তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়।
পদত্যাগপত্রে শমী কায়সার লিখেছেন, গত ২৭ জুলাই ই-ক্যাবের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশনার শিগগিরই নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে আশা করছি। তবে আমার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ই-ক্যাব সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগপত্রটি কার্যকর করার অনুরোধ করছি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কার্য পরিচালনা চলমান রাখার জন্য আমার অবর্তমানে বর্তমান ইসি (কার্যনির্বাহী কমিটি) দায়িত্ব পালন করবে।
ই-ক্যাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শমী কায়সার লিখেছেন, আমি তিন মেয়াদে ই-ক্যাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি বিশ্বাস করি, এই তিন মেয়াদে ই-ক্যাব একটি শক্তিশালী অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে আমরা এই অ্যাসোসিয়েশনকে আজ এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম আজ শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং সেই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আমি ই-ক্যাবের নির্বাহী কমিটির কাছে দিয়ে যাচ্ছি।
পদত্যাগপত্রে ই-ক্যাব সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শমী। তিন মেয়াদে কাজ করার সময় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন বলে জানিয়েছেন। কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন নয়, কেবল ই-ক্যাবের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে যুক্ত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শমী কায়সার বলেন, আমার কোনো কর্মকাণ্ডে ই-ক্যাব বা এর কোনো সদস্যের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, আমি সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে যুক্ত ছিলাম না। এমনকি কোনো চেক সইয়ের জন্যও দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম না। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেবল নীতিনির্ধারণী বিষয়ে (পলিসি) সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম তিন মেয়াদে।
শমী কায়সারের পদত্যাগের পর ই-ক্যাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সভাপতি শাহাব উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
২০১৮ সাল থেকে ই-ক্যাব সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন শমী কায়সার। ২০২২ সালে সংগঠনটির প্রথম নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়লাভ করে। ড়গত ২৭ জুলাই যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, সে নির্বাচনেও তার নেতৃত্বাধীন প্যানেল ছিল। ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।