ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ডাক ও টেলিযোগযোগ সচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে তিনি পদত্যাগ করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানের সময় একাধিকবার দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সমালোচনার মধ্যে ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তার পদত্যাগের দাবিতে বিটিআরসিতে বিক্ষোভও হয়েছে।
পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেছেন, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে চেয়ারম্যান পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি অসুস্থ ও দায়িত্ব পালনে অপারগ। তাই আমি স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারমান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ থেকে ১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮ জুলাই থেকে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ও ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার“ (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।