Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নব্য ফ্যাসিবাদ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৪১

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যখন সোশ্যাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায় বিরূপ খবর দেখি, তখন কিন্তু আতঙ্কিত হই। আবার কোন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হচ্ছে! জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করবার জন্য আবার কোনো নব্য ফ্যাসিবাদ এসে উপস্থিত হচ্ছে কিনা?— এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঐক্য, ঐক্য, ঐক্যে এবং ধৈর্যশীল অবস্থা, সহনশীল অবস্থা, ডিসিপ্লিনের মধ্যে আমাদের চলতে হবে। এই কথা বলছি এজন্য যে, আজকে ম্যাডামের জন্মদিনের অনুষ্ঠান না? ক‘জন এসছেন? কালকে আপনাদের প্রোগ্রাম ছিল না? ক‘জন আসছিলেন। সেভাবে আসে নাই। অনেক কম, আজকেও কম। কী জন্য? জয় হয়ে গেছে?’

‘না এই যুদ্ধকে জারি রাখতে হবে, এই সংগ্রামকে চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আমরা কিন্তু অনেক বিপদে পড়ে যাব। এক ফ্যাসিবাদকে পরাজতি করেছি আমরা। নব্য ফ্যাসিবাদ যেন না আসতে পারে তার জন্যে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সরকার একেবারে নরম সরকার, অন্তর্বতীকালীন সরকার। তার দায়িত্ব একটা নির্বাচন করে দিয়ে যাবে, তাই না? জঞ্জাল জমা হয়েছে তো। এই জঞ্জাল তো সাফ করতে হবে। এজন্য তাদের কিছু সময় তো দিতে হবে। সেইভাবে কাজ করে আমাদের সংগ্রামকে জারি রাখতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ লড়াই করেছি। এখন যদি মনে করেন, আমাদের লড়াই শেষ হয়ে গেছে তাহলে ভুল করবেন। এখন অত্যন্ত ভাসমান অবস্থায় আছি। যেকোনো সময় শেখ হাসিনা সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। ইতিমধ্যে চক্রান্ত শুরু করেছে, সেই চক্রান্ত প্রতিরোধ করাই আমাদের কাজ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করে তার একটা ভিত্তি তৈরি করেছি সেই ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আমাদের ছেলেরা তরুণ-যুবক-ছাত্ররা আন্দোলন বিজয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে আবু সাঈদ থেকে শুরু করে আরো অনেকে ছাত্র-শিক্ষার্থী। ৩-৫ আগস্ট ছাত্রদলের বহু ছেলে প্রাণ দিয়েছে। আমি পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম তখন ১২৪ জন ছিল। আমি খবর নিয়ে দেখলাম যে, সেখানে ৯০ জন হচ্ছে ছাত্রদলের ছেলে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে কমিউনালিজমের কথা বলছে না, সাম্প্রদায়িকতা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের কথা বলছেন না? এটা একটা চক্রান্ত। এই কথা বলে ধুঁয়া তুলে তারা (আওয়ামী লীগ) আরেকটা ঝগড়া করতে চায়। আপনাদের দায়িত্ব নিজ নিজ এলাকায় শান্তি বিগ্রেড তৈরি করা। শান্তি বিগ্রেড তৈরি করে পাহারা দেওয়া। সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, মন্দির, গীর্জা পাহারা দেবেন, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তাদের জীবন-মালের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পরিচালরায় এই দোয়া মাহফিলে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, ওলামা দলের মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেনসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

নব্য ফ্যাসিবাদ মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর