ছাত্রদল নেতা হত্যা: হাসিনা-কাদের, হাসান-নওফেলের বিরুদ্ধে মামলা
১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৩১ | আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৬:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ১০৮ নেতাকর্মীর নামে চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু আসামি হিসেবে আছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস ছবুর লিটন, এসরারুল হক, মোবারক আলী, হারুন অর রশীদ, মোরশেদুল আলম, নুর মোস্তফা টিনু, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আশরাফুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, জহরলাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুরুল আলম মিয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও আবদুস সালাম মাসুম, নগর ছাত্রলীগের সাধাণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ, দেবাশীষ পাল দেবু, ছাত্রলীগ নেতা নুর নবী সাহেদসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নগরীর মুরাদপুরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে ছাত্রলীগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়াসিম আকরামসহ তিনজন নিহত হন।
নিহত ওয়াসিম আকরাম (২২) চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা গ্রামে। তিনি পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই ওয়াসিম আকরাম ছাত্র জনতার সমাবেশে অংশ নিতে বারকোড রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ‘ইন্ধনে’ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সমাবেশে হামলা চালায়। ওয়াসিমের বুকে ও নাভিতে হামলাকারীদের ছোড়া গুলি লাগে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে এ নিয়ে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয় নগরীর বহদ্দারহাটে গুলিতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায়। শেখ হাসিনা এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ৩৪ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ