নোয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যা
১৯ আগস্ট ২০২৪ ১৭:১১
নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হত্যা মামলার এক আসামিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, রোববার রাত ১১টার দিকে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকার সড়কে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত সাহেদ আহমদ (৩৫) উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওটি গ্রামের বড় বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সাহেদ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সমর্থক ছিল। ২০১৪ সালে স্থানীয় মিলন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে আসামি করে মামলা হয়। এরপর থেকে তিনি প্রায় ১০ বছর এলাকার বাইরে আত্মগোপনে ছিল। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর খবরে এলাকায় ফিরে আসে। এরপর স্থানীয় চা দোকানদার হুমায়ন, মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উল্যার বাড়ি ও তার নাতি কামরানের ওপর হামলা চালায় এবং হুমায়নের দুটি পা ভেঙ্গে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার রাত ১০টার দিকে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকায় তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার দুই চোখে গুরুত্বর জখম করে এবং কানের ডান পাশে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ রাস্তায় ফেলে যায়। ওই সময় তার কয়েকজন সহযোগীও আহত হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, নিহত যুবক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৪-৫টি মামলা আছে। হত্যা মামলার পর দীর্ঘ দিন পলাতক ছিল। ৫ আগস্টের পর পুনরায় এলাকায় এসে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মানুষের ওপর হামলা শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে রোববার রাতে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। পরে রাস্তার ওপর সাহেদের লাশ পাওয়া যায়। এতে তার কয়েকজন অনুসারীও আহত হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সারাবাংলা/ইআ