ঢাকা: চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনার দাবিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখান। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তারা সরে গেলে রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়। আগামীকালও (২০ আগস্ট) সচিবালয়ের সামনে তাদের অবস্থান নেওয়ার কথা রয়েছে।
গ্রাম পুলিশের পক্ষে সচিবালয়ে গিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, আমরা ৪৭ হাজার বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী।
গ্রাম পুলিশ আমাদের ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট হওয়া সত্ত্বেও আমরা গেজেট মোতাবেক বেতন পাচ্ছি না। তাই আমরা বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে গত ১৪ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করে আসছি।
বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারীদের কর্মজীবনের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, অপ্রাপ্তি ও হতাশা সর্বোপরি বিদ্যমান বৈষম্য দ্রুত নিরসনসহ আমাদের দাবিগুলো মানতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দেখা গেছে, সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনে গ্রাম পুলিশের কয়েকশ কর্মী অবস্থান নেন। এরইমধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল পেতে স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী গ্রাম পুলিশ সংগঠনের সভাপতি লাল মিয়া। রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনা ও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের দাবি গ্রাম পুলিশ সদস্যদের।
শুধু গ্রাম পুলিশ নয়, সোমবার আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও জাতীয়করণ কিংবা রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবিতে সচিবালয়ের সামনের ফটকে অবস্থান নেয়। মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের কর্মচারী, মৎস্য অধিদফতরের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের সাবেক কর্মচারী এবং পরিববার পরিকল্পনা মহিলা স্বেচ্ছাসেবীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। প্রকল্পের এসব কর্মকর্তাদের দাবি- চাকরি স্থানীয়করণ। তবে আন্দোলনে থাকা সব পক্ষ সরে গেলে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ওই সড়কে যানচলাচল শুরু হয়।