চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান সোহায়েল বাধ্যতামূলক অবসরে
২০ আগস্ট ২০২৪ ০০:৪৩ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪ ০১:২১
ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে নেওয়ার ১২ দিনের মাথায় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে। হত্যা ও গুম ছাড়াও বন্দরের চেয়ারম্যান থাকাকালে বড় ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) নৌ বাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে মোহাম্মদ সোহায়েলকে। নৌ বাহিনীর এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ সোহায়েলকে গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে নৌবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল। গত বছরের ১২ এপ্রিল তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।
নৌ বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডোর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই পদে পদোন্নতি আদায় করে নিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান থাকাকালে শুদ্ধাচার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
মোহাম্মদ সোহায়েল ২০১০ সাল থেকে পরবর্তী দুই বছর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ছিলেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ‘ক্রসফায়ার’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও হেফাজতে তিন শতাধিক প্রাণহানি ঘটে। অপহরণ ও গুমের শিকার হন দেড় শতাধিক মানুষ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময় অভিযোগে জানিয়েছে, এসব প্রাণহানি ও গুমের বড় একটি অংশেই র্যাব জড়িত ছিল। মোহাম্মদ সোহায়েলের বিরুদ্ধেও গুম ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর