সরকারি সহায়তা পাচ্ছে না ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিশু শিক্ষার্থী
২০ আগস্ট ২০২৪ ০৮:৫২
বগুড়া: অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এসে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত বগুড়ার শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১২)। ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। সরকারি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিশুর বাবা জিয়াউর রহমান।
রাতুল বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়া হাকিরমোড় এলাকার মো. জিয়াউর রহমান ও মোছা. রোকেয়া বেগমের সন্তান। সে বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
আহত শিক্ষার্থী জুনাইদ ইসলাম রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, গত ৫ আগস্ট রাতুল অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত বিক্ষোভে যোগ দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার সময় বগুড়া শহরের বড়গোলা ঝাউতলা এলাকায় এলে থানার মোড় রেল লাইন এলাকা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুঁড়তে থাকে।
একপর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থী রাতুল পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তখন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে নিয়ে ভর্তি করানো হয়, বলে জানান তিনি।
শিশু রাতুল মুখ, চোখ ও মাথায় গুলি লেগে মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়েছে। তার বাবা একজন মুদি দোাকানদার, তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বগুড়া থেকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করাতে বেশ কিছু টাকা ঋণও করতে হয়েছে।
রাতুলের বাবা বলেন, ‘শুনেছি বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সরকার নিদের্শনা দিয়েছে। কিন্তু শিশু রাতুলের সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আমার অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে।’ অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে তার সন্তানের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সারাবাংলা/এমও