এবার বিজিএমইএ’র পর্ষদ ভেঙে দিতে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে চিঠি
২০ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৩
ঢাকা: দেশের পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কেন্দ্রিক প্যানেল ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী। গেল ১৯ আগস্ট বাণিজ্য উপদেষ্টাকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে এই পর্ষদ ভেঙে দিতে অনাস্থা জানিয়ে স্মারকলিপিও দেয় ফোরামের সদস্যরা।
চিঠিতে দাবি করা হয়, বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপের কারণে অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের মতো বিজিএমইএও এক দশকের বেশি সময় ধরে স্বতন্ত্র ও গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়নি। ভুয়া ভোটার ও জাল ভোট প্রদান এবং বহিরাগত দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
গত মার্চের নির্বাচন নিয়ে ফোরামের মহাসচিব চিঠিতে বলেন, বিজিএমইএর নির্বাচনসংক্রান্ত নিয়মাবলি অনুসারে, ভোটারদের হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন ও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এই নিয়ম ভঙ্গ করে অনেককে ভোটার করা হয়েছে, যাদের ট্রেড লাইসেন্স ভুয়া ও আয়কর রিটার্ন হালনাগাদ ছিল না। কারখানার অস্তিত্ব নেই কিংবা দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ ও রফতানি নেই, এমন ব্যক্তিদের ভোটার করা হয়েছে। নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর অনেক সদস্যকে ভোটার করা হয়েছে, যাদের কারখানা বন্ধ, অস্তিত্বহীন ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছিল না, এমনকি ওই সংগঠনে তাদের ভোটাধিকারও নেই। এ ধরনের ভুয়া ভোটাররাই সম্মিলিত পরিষদের ভোট ব্যাংক হয়ে ওঠেন। এভাবেই একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান সভাপতি পদে বসেন।
প্রসঙ্গত, গেল কয়েকবছর ধরে বিজিএমইএ নির্বাচনে মূলত দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্ধিতা করে আসছে- সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। দুটি প্যানেলের নেতারাই বিজিএমইএ’র সভাপতি ও অন্যান্য পদে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফোরামের নেতৃত্ব দেন বিজিএমইএ’র সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সুরমা গার্মেন্টেসের কর্ণধার ফয়সাল সামাদ। আর সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে দেন বিজিএমইএ’র আগের কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সেহা ডিজাইন (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান কচি। তিনি মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে বিজিএমইএর সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। তার প্যানেল সম্মিলিত পরিষধ নিরুঙ্কুশ জয় পায়। ওই নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছে ফোরাম।
এদিকে সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট ফোরামের নেতা-কর্মীরা বিজিএমইএর কার্যালয়ে গিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ওপর অনাস্থা জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। ওই দিনই কমিটি ভেঙে দিতে পর্ষদকে চাপ দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনায় বেশ হট্টগোল হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ