শেখ হাসিনা-শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগ
২০ আগস্ট ২০২৪ ১৮:০১ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫৫
ঢাকা: ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘নির্বিচারে হত্যা ও লাশগুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে।
২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) এ আবেদন দায়ের করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী। তার আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামির তালিকায় রয়েছে- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেকমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাইমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র্যঅব , পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।
আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরাধের ধরণে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এক থেকে ২৪ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা কর্তৃকশহরব্যাপী ব্ল্যাক আউট করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘঠন করে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ