Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ববি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৫৬

বরিশাল: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে পদত্যাগপত্র দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবদুল কাইউম ও প্রক্টরিয়াল বডির সাত সদস্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য এবং প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সাত সদস্য আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরআগে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে একদল শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর আবদুল কাইউমের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছিল। এই দাবি ওঠার পর উপাচার্যের স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে আরেক দল শিক্ষার্থী মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করেন।

একইভাবে পদত্যাগের দাবিতেও মঙ্গলবার কর্মসূচি আহ্বান করে অপর পক্ষ। দুই দল শিক্ষার্থীর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ছিল উত্তেজনা। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচি হয়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যেই বেলা ১১টার কিছু পর আকস্মিক প্রক্টর আবদুল কাইউম তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির বাকি সাতজন সদস্যও পদত্যাগপত্র জমা দেন রেজিস্ট্রারের কাছে।

প্রক্টরের পদত্যাগের খবর প্রকাশের পরপরই ক্যাম্পাসে গুঞ্জন শুরু হয় উপাচার্য বদরুজ্জামান ভূঁইয়াও পদত্যাগ করছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য বদরুজ্জামান ভূঁইয়া শিক্ষকদের সঙ্গে একটি সভা করেন। সভায় তিনি বক্তব্যে শিক্ষকদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের কাজ করতে গিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানান। উপাচার্যের এই বক্তব্যের পর তিনি পদত্যাগ করছেন এটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এ বিষয়ে পদত্যাগকারী উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রক্টর আবদুল কাইউমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান উপাচার্য ও প্রক্টর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ সমন্বয়কদের ধরে নিয়ে গেলেও তারা বাধা দেননি বরং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দমন করতে সহায়তা করেছেন। ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও গুলিবর্ষণে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হন। এই হামলা ঠেকাতে তারা নির্লিপ্ত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর