Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২৪ ২০:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চমেক হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ফলে বন্ধ হয়ে পড়ে কলেজের কার্যক্রম।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে মানসিক হয়রানি করতেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পুলিশের ভয় দেখিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের কলেজের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন তিনি। যারা তার পদলেহন করতে পারেন, তাদেরই তিনি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন।

এদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে কলেজের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেন চমেক শিক্ষার্থীরা। দুপুর একটার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।

চমেকের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তারের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। সে জায়গায় তিনি যদি সেই দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে তার যদি ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব, লজ্জা ও দায়বদ্ধতা থাকে ওই পদটি ছেড়ে দেওয়া উচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চমেকের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট কথা, একটি রাজনৈতিক দলের তোষামদকারী পদলেহন করা একজন এজেন্টের এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা নেওয়ার যোগ্যতা নেই। উনি উনার জায়গা থেকে পদত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত চমেক প্রাঙ্গণে আসতে পারবেন না। শুধু একবারের জন্য আসবেন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে। এটার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার আমরা সেটাই করব।’

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যেসব শিক্ষক, উপাচার্য ও প্রতিষ্ঠান প্রধান আওয়ামী লীগ সরকারের পা চেটে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গেছে তাদের ওই পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। আপনারা আপনাদের শিক্ষকতার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। আমরা শামসুজ্জোহা স্যারের নাম শুনেছি। তার বুকের ওপর বুলেট বিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ তার শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দিতে পারেনি।’

‘কিন্তু আমরা দেখেছি এখন শিক্ষকরা ছাত্রলীগ ও পুলিশের কাছে শিক্ষার্থীদের নামের লিস্ট দিয়েছে ধরে আনার জন্য। ছাত্রলীগ যেভাবে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে সেভাবে শিক্ষকরাও উচ্ছেদ হবে।’

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

টপ নিউজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারজিস হাসনাত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর