গজারিয়ায় নৌ-পথে চাঁদাবাজি ও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে আটক ৯
২১ আগস্ট ২০২৪ ২১:১৫
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নৌ-পথে চাঁদাবাজি ও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তিনটি ড্রেজার ও নৌযান থেকে চাঁদা আদায়ের দায়ে নয়জনকে আটক করা হয়।
সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর মোহনা এ অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া এবং পার্শ্ববর্তী মতলব উত্তর থানা সীমানা ঘেঁষে মেঘনা নদীতে একটা মহল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌপথে জলযান থেকে চাঁদা এবং অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। গ্রাম ঘেঁষে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে পড়ে এলাকার রাস্তা ঘাট, জমি, গাছ পালা ও বিভিন্ন স্থাপনা। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়েও তারা বালু খেকোদের অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারেন নাই।
নদীতে নৌযান থেকে চাঁদাবাজি ও বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে গজারিয়া নৌ থানায় মামলা হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি এ কাজে জড়িতরা। সম্প্রতি গজারিয়া থানায় অবস্থান নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান। এসময় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান নৌপথে চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার স্থানীয়দের আশ্বাস দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নৌ-পথের চাঁদাবাজি ও বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান। একটি স্পিডবোট নিয়ে অভিযান শুরু হয় মেঘনা থেকে পরে শাখা নদীগুলোতে দিনভর অভিযান চালানো হয়। এসময় গ্রাম ঘেঁষে বালু উত্তোলনের সময় তিনটি ড্রেজার জব্দ ও নয়জনকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যেরা।
সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধী সে যেই হোক না কেন তাকে সেনাবাহিনী ছাড় দেবে না।
সারাবাংলা/এনইউ