পদত্যাগ করলেন কুবি উপাচার্য
২০ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৪৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন পদত্যাগ করেছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম উপাচার্য ছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন ড. আবদুল মঈন। পদত্যাগপত্রের একটি কপি সারাবাংলার হাতে এসেছে।
পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক আবদুল মঈন লিখেছেন, ব্যক্তিগত কারণে উপাচার্যের পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
ড. আবদুল মঈন এর আগে গত ১১ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন বলে তথ্য এসেছিল। ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী জানিয়েছিলেন পদত্যাগপত্রটি জমা হওয়ার কথা। তবে বর্তমান রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান চৌধুরী ওই পদত্যাগপত্র বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সপ্তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সে হিসাবে আড়াই বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে কনুই দিয়ে আঘাত করা, বিতর্কিত নিয়োগ, আইন না মেনে বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ, ঢাকার গেস্ট হাউজ ব্যক্তিগত দখলে রাখাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি অভিযোগ ছিল ড. আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে। তার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছিলেন অনেক দিন ধরেই। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরাও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যুক্ত হন।
এর মধ্যে ছাত্র আন্দোলনের জের ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরে দাাঁড়ান। কুবিতেও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়। শিক্ষার্থীরা তাকে পদত্যাগ করার জন্য আলটিমেটামও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন কুবি উপাচার্য ড. আবদুল মঈন।
এদিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, উপাচার্য পদ শূন্য হলে সেই শূন্য পদে নতুন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত উপউপাচার্য সেই দায়িত্ব পালন করবেন। সে অনুযায়ী কুবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন।
সারাবাংলা/টিআর
অধ্যাপক আবদুল মঈন এ এফ এম আবদুল মঈন কুবি কুবি উপাচার্য ড. আবদুল মঈন পদত্যাগ