Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্যা কবলিত এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৮ নির্দেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪৪

ঢাকা: বন্যাকবলিত এলাকার জন্য আটটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা আটটি নির্দেশনাগুলো হলো:-

১. বন্যাকবলিত এলাকার সব সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু রাখতে হবে।

২. প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে।
৩. বন্যা কবলিত এলাকায় প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য ঝুঁকি ডায়রিয়া, সর্প দংশনসহ বন্যা সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমানে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, অ্যান্টি ভেনম ইত্যাদি মজুদ রাখতে হবে।

৪. বন্যা দুর্গত হাসপাতালগুলোতে যন্ত্রপাতিগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

৫. জরুরি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে।

৬. বন্যা দুর্গত জেলাগুলোর সকল চিকিৎসক, নার্সসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) অনুমতি ব্যতিরেকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

৭. স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বন্যা দুর্গত এলাকার সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণকে অনুরোধ করা হলো।

৮. বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক গঠিত কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশের আট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য বলছে, বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ৩৫৭টি ইউনিয়নে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ পরিবারের ২৯ লাখ মানুষ। বন্যায় অন্তত তিনজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আশ্রয় দিতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) থেকে দেশে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। এখন পর্যন্ত বন্যা ছড়িয়েছে আট জেলায়— ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকার অনেক নিম্নাঞ্চলই জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজারে একজন করে মোট তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সারাবাংলা/এসবি/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর