Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে সরে যেতে মাইকিং

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৪ ২০:৪৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া নগরীতে চসিকের ৪৮টি বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে, বিকেল তিনটা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৫৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রামে আরও ভারী থেকে অতি ভারী বষর্ণের আশঙ্কা রয়েছে।

টানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় মাইকিং শুরু করেন চসিকের কর্মীরা। সন্ধ্যার পরও মাইকিং অব্যাহত আছে।

চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুসারে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে নগরীর উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে এখন অবৈধ বসতির সংখ্যা ৬ হাজার ১৭৫ পরিবার। মোট ঝুঁকিপূর্ণ বসতিসম্পন্ন পাহাড় আছে ২৬টি।

চট্টগ্রাম নগরী এবং আশপাশের এলাকায় পাহাড়ধসে প্রতিবছরই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গত ১৬ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে তিনশ’রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৭ সালে পাহাড়ধসে চট্টগ্রাম নগরীতে ১২৭ জনের মৃত্যুর হয়েছিল।

এ ঘটনায় পাহাড়ে অবৈধ বসতি, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস এবং প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছরই পাহাড়ধসে নগরী ও জেলায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পাহাড়ধসে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হয়।

চসিকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসে সৃষ্ট দুর্যোগে চসিকের ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের জন্য ছয় হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সবধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

নগরীর দামপাড়ায় চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এর নম্বর- ০২৩৩৩৩৬৩০৭৩৯। চসিকের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলামের নির্দেশনা অনুসারে সাতটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তিনটি জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

টপ নিউজ পাহাড় মাইকিং


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর