খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
২৩ আগস্ট ২০২৪ ১১:০৩
খাগড়াছড়ি: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার নয় উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল থেকে আর বৃষ্টি না হওয়ায় খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাস্তাঘাট ও বাড়ি-ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজন বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকে ঘরবাড়ির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছেন। যাদের বাড়ি-ঘর ভেঙেছে তারা আছেন খোলা আকাশের নিচে, কী করবেন তা নিয়ে আছেন মহাদুঃচিন্তায়।
এদিকে, বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। গত দু’দিনের মতো আজও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় সরবরাহ করছে খাগড়াছড়ি সদর জোন, মহালছড়ি জোন, দিঘীনালা জোন, বাঘাইহাট জোন, লংগদু ও মারিশ্যা জোনের সেনা সদস্যরা। প্রায় ৫০ হাজার লোকজনকে এসব সহায়তা দেয়া হচ্ছে। গত দুদিনের উদ্ধার তৎপরতা এবং আজকের ত্রাণ কর্যক্রমে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে হাজারও পরিবার পানিবন্দি, উদ্ধারে সেনাবাহিনী
এছাড়া খাদ্য সহায়তা নিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি গতকালকের মতো আজও খাগড়াছড়ি শহরের আশে-পাশের এলাকায় শতাধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। তিনি এই কার্যক্রম চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা এবং নয় উপজেলা প্রশাসন। ৪১২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে নয় উপজেলা, তিন পৌরসভা ও ৩৮ ইউনিয়নে। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় রান্না করা খাবারও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে তাদেরকে ঘরবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ