সবজির বাজারে স্বস্তি, তবে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের
২৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৪৫
ঢাকা: রাজধানীর সবজির বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। তবে অন্য শাক-সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ২৮০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ছিল ২০০-২২০ টাকা। এছাড়া টমেটো, করলা, পটল, ঢেঁড়স, বরবটিসহ কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী ও কল্যাণপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন আগারগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কয়েকটি সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম আবার বেড়েছে। আজ কাঁচামরিচ ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিন শ্যামলীর কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালিকা (পাকিস্তানি) মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। যা গত দুই সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শ্যামলীর সবজি বিক্রেতা বিল্লাহ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম আবার বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে অন্যান্য কয়েকটি সবজির দাম কমেছে।‘
শ্যামলীর কাঁচাবাজারে কথা হয় রাসেল আহমেদ নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কম। এছাড়া পটল, ঢেঁড়স বরবটির দামও কিছুটা কম। আজ পটল, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে।’
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা বাজারের এই স্বস্তি হয়তো বেশিদিন থাকবে না। কারণ দেশের অনেক জেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। এ কারণে হয়ত আবার দাম বেড়ে যেতে পারে।
শুক্রবার টমেটোর দাম কিছুটা কমে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা। করলা ৭০- ৮০ টাকা, উস্তা ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন (কালো) ৯০-১০০, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০, বরবটি ৬০ টাকা, পটল, ঢেঁড়স, শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জালি কুমড়া (প্রতি পিস) ৫০-৬০ টাকা, পাতি লাউ (মাঝারি আকারের প্রতি পিস) ৫০-৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আঁটি লাউশাক ও পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। লেবু (মাঝারি আকারের) ২০-৩০ টাকা হালি বিক্রি হতে দেখা যায়।
শুক্রবার বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকা, রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিন বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের রুই মাছ ৩৪০-৩৮০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি, সিং ৪৫০-৫৫০ টাকা, গুলশা ৭৫০-৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে হতে দেখা যায়। মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া, পাঙাস, সিলভার কার্প ও চাষের কই কেজিপ্রতি ২২০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার ফার্মের লাল ডিম ১৫০ টাকা ডজন এবং ফার্মের মুরগির সাদা ডিম ১৪০-১৪৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন হাঁসের ডিম ৮০ টাকা হালি এবং কোয়েল পাখির ডিম ৫০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
আজ ব্রয়লার মুরগির ১৬৫-১৭৫ টাকা, সোনালিকা ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিন বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৩০-৭৫০ টাকা এবং খাসি ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছ-মাংসসহ সব ধরনের শাক-সবজির দাম বাজারভেদে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম বেশি হতে পারে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও