খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি: আব্দুর রেজ্জাক
২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:৪৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি বলে দাবি করেন আসামির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।
আব্দুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্কের সময় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। কোনো সাক্ষী তার সাক্ষ্যদানে বলেননি যে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। সাক্ষীরা তাদের সাক্ষ্যে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দাখিল করা ডকুমেন্ট সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। সমস্ত ডকুমেন্টে কাটাকাটি ও ওভার রাইটিং আছে, তবে কে ওভার রাইটিং করেছে কোন সাক্ষী তা বলতে পারেন না। ডকুমেন্টগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কোনো তদন্ত হয়নি। এসব ডকুমেন্টে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো দস্তখত নেই কোনো অনুমোদন নাই। এমন ডকুমেন্ট দিয়ে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে কালিমা লেপনের জন্য মামলা করা হয়েছে।
রেজ্জাক খান আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সময় আইনের সকল বিধি যথাযথভাবে পালিত হয়নি। তিনি কীভাবে এ মামলায় সম্পৃক্ত হলেন তার কোনো বর্ণনা চার্জে নাই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও সুনির্দিষ্ট নয়।
বুধবার বেলা ১১:০৫ মিনিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত একটানা এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় বিচারক বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবী করেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন দাবী করে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে।
খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমএ