রাতে নয়, সকালে খুলবে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬ গেইট
২৪ আগস্ট ২০২৪ ২২:৩৫
রাঙ্গামাটি: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় বাঁধের ১৬টি গেইট দিয়ে পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বাঁধের ১৬টি স্প্রিলওয়ে বা জলকপাট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি আজ রাতে খুলছে না।
আগামীকাল রোববার (২৫ আগস্ট) সকালের দিকে জলকপাটগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হবে কর্ণফুলী নদীতে।
এ টি এম আব্দুজ্জাহের রাতে জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা আজ রাতে ১০৮ এমএসএল-এ অবস্থান করছে, যা বিপৎসীমার কাছাকাছি। সে কারণে লেকের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে শনিবার রাত ১০টায় স্প্রিলওয়ের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে উঠিয়ে দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু এই পানি কাল সকালে নিষ্কাশন করা হবে। সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে গেট খুলে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, রাতেই খুলছে ১৬ গেইট
আব্দুজ্জাহের আরও বলেন, বর্তমানে হ্রদের পানির প্রবাহ ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানির লেভেল অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে স্প্রিলওয়ের গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে ৩২ হাজার কিউসেক পানি প্রতি সেকেন্ডে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেওয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬টি জলকপাট বা স্লুইসগেইট রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নির্গমণ করতে পারে। হ্রদে ১০৯ এমএসএল’র বেশি পানি পূর্ণ হলে জলকপাট দিয়ে পানি নির্গমণ করা হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম