চট্টগ্রামে আরেক থানায় হামলার মামলায় আসামি ৩০ হাজার
২৬ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৩৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ইপিজেড থানায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইপিজেড থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাকিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করলেও এটা জানাজানি হয় সোমবার (২৬ আগস্ট)। থানা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে এক কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতির পরিমাণ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় এক কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে বলেও উল্লেখ আছে।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৫ থেকে ৩০ হাজার দুর্বৃত্ত ইপিজেড থানায় দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীদের ভয়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে থানা ছেড়ে পালিয়ে গেলে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে থানার রেজিস্ট্রারপত্র, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানান, ইপিজেড থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটের অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোছাইন সারাবাংলাকে জানান, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ইপিজেড থানায় দুষ্কৃতকারীরা থানায় হামলা করে। থানায় তারা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও বিভিন্ন মামলার আলামত নষ্ট করেছে। এ সময় থানার অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের বিভিন্ন ধারায়, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, ২৪ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর চট্টগ্রাম নগরীর ১১টি থানা আক্রান্ত হয়। আগুন দেওয়া হয় আটটি থানায়। ছয়টি থানা থেকে লুট করে নেওয়া হয় অস্ত্র। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোতোয়ালি, পতেঙ্গা, ইপিজেড, সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা।
সারাবাংলা/আইসি/ইআ