ব্যাংক-রাজস্ব খাত-পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তায় আগ্রহী যুক্তরাজ্য
২৭ আগস্ট ২০২৪ ১৩:০৮
ঢাকা: বাংলাদেশকে পুঁজিবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সহায়তা করতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্ব সংস্কার এবং পুঁজিবাজার সংস্কারের মতো সংস্কারে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। এগুলি আমাদের জন্যও খুব তাত্ক্ষণিক উদ্বেগ। কারণ আমরা যদি সেসব সংস্কার না করি তাহলে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে।’
বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা চাই ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হোক। যুক্তরাজ্য সরকার অতীতে খুব সহায়ক ছিল এবং আমি আশা করি আগামী দিনে তারা সহায়ক হবে। আমরা তাদের সাহায্য এবং সহযোগিতার জন্য উন্মুখ।’
উভয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এগুলোও চালিয়ে যাব। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটেনের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করেছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আমদানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বলেছেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার। কারণ বাংলাদেশ মূলত যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে আরএমজি আইটেম রফতানি করে। আরও বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে। এর জন্য শর্ত হল ব্যবসার পরিবেশ, ব্যবসা করার সহজতা মানে আমাদের ব্যবসা করার পরিবেশ ঠিক করতে হবে, অন্যথায় বেসরকারি খাত আসবে না।’
আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে খুবই আগ্রহী এবং আমরা আলোচনা করেছি যে কীভাবে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারকে সমর্থন করতে পারে যা উপদেষ্টা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং কীভাবে আমরা অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করতে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এবং কিভাবে আমরা দুই দেশের মধ্যে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে পারি।’
যুক্তরাজ্য থেকে আরও এফডিআই আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমাদের একটি খুব শক্তিশালী এবং বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। অবশ্যই আমরা বাংলাদেশে আরও এফডিআই দেখতে চাই।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করেছি কিভাবে আমরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করতে পারি এবং আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে পারি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং যুক্তরাজ্য কীভাবে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে তিনি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
সারাবাংলা/জেজে/এমও