Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাবি করেসপন্ডেন্ট
২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৪৯

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মো. অনিক আহমেদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মো. অনিক মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের ২০২৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে শুরু থেকেই সম্পৃক্ত ছিলেন অনিক আহমেদ। পরে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে গেলে নিজ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এর জেরে গত ২৫ জুলাই তার নিজ এলাকার বেলকুচি উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এবং ১৩ আগস্ট তার নামে মামলা করেন ঐ নেতাকর্মীরা।

মানবন্ধনে পতিত স্বৈরাচারের সমালোচনা ও অনিক আহমেদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত বাতাসের হাওয়া খেতে পারছে। তাদের মনের ভেতরকার কথাগুলো প্রকাশ করতে পারছে। কিন্তু যে ভয়ংকর স্বৈরশাসককে ছাত্রজনতা বিপ্লবের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে, তারা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই বাংলাদেশে একটা হৃদয়হীন, বিবেকহীন পরিস্থিতি চালু রেখেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় তারা এবং তাদের নেত্রী গর্তে লুকিয়েছে। কিন্তু তারা দীর্ঘ ১৫ বছরে দেশে যে বিষচক্র তৈরি করে রেখে গেছে, সেটার রেশ কাটতে বহু সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, গত জুলাইয়ে অনিকের ওপর যে হামলা করা হয়েছে, আমার মনে হয় এরকম ঘটনা সামনে আরো ঘটবে। কারণ পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের জন্য সময় খুব কম। তারা অল্প সময়ের মধ্যে যত কূটকৌশল, নিষ্ঠুরতা, যত নোংরামি করা যায় তারা করবে। ছাত্রজনতার যে অভূতপূর্ব ঐক্য আমরা দেখছি, সেই ঐক্যই এখন ভরসা। ন্যায় এবং ন্যায্যতার সপক্ষে দাঁড়ানোর জন্য যে প্রেরণা সেটাকে ধারণা করতে পারলেই আমাদের পক্ষে এই ধরনের ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব।

লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন নতুন বাংলাদেশের অবস্থানে আছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফসল হিসেবে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু এই স্বৈরাচারের অঙ্গসংগঠন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের পেছনে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে এবং যখনই সুযোগ পাচ্ছে তারা আক্রমণ করে যাচ্ছে। তারই একটা দৃষ্টান্ত অনিক আহমেদের ওপর হামলা। আজকে আমাদের দাবি তার বিরুদ্ধে যে মামলা তা প্রত্যাহার করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

রাবি স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই আমরা যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলাম তার মধ্যে অনিক আহমেদ অন্যতম। এর আগেও মাদার বখশ হলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী আসাদুল্লা-হিল-গালিব দ্বারা নির্মমভাবে মানসিক এবং শারিরীক হেনস্তার শিকার হয়। তাকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, শিবির ট্যাগ দিয়ে হল থেকে বের করার পাঁয়তারা করে। সেই আওয়ামী প্রেতাত্মারা দেশের আনাচে-কানাচে ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা বিভিন্ন সময় খোলস পাল্টিয়ে এই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই কূটকৌশল বাস্তবায়ন হতে দেব না। অনিকের ওপর যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে এই হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর