Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তালিকা হচ্ছে ঋণ আত্মসাতের, ব্যাংক নিয়ে রোডম্যাপ ৬ মাসের মধ্যে

সারাবাংলা ডেস্ক
২৮ আগস্ট ২০২৪ ২০:৫৯

ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে ব্যাংক কমিশন গঠন করে সব ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র শিগগিরই প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে সরকার। ব্যাংকগুলো পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়নও করা হবে।

সরকার বলছে, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছে, তারও হিসাব করা হচ্ছে। যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে, সেগুলো ফেরত আনার জন্যও কাজ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসউইং থেকে পাঠঅনো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাত করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন। এসব অর্থের সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকা বলে ধারণা করা যায়।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ না করে এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে জড়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচারে সরকারের কঠোর মনোভাব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা নিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার মাধ্যমে অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে এরই মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার।

শিগগিরই ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে বলা হয়, কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য সব আর্ন্তজাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এ উদ্দেশ্যে সফল করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়, আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে।

ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন এবং আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময়সাপেক্ষ হলেও সরকার দেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ব্যপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

অন্তর্বর্তী সরকার অর্থ পাচার আর্থিক খাত আর্থিক খাত সংস্কার ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ প্রধান উপদেষ্টার দফতর ব্যাংক খাত ব্যাংক সংস্কার ব্যাংকিং খাত সংস্কার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর