Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জীবনের বিনিময়ে ক্ষমা করতে পারব না: খালাস পেয়ে মির্জা আব্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২৪ ১৫:১২

ফাইল ছবি

ঢাকা: গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বহু নেতা-কর্মীর জীবন শেষ করে দিয়েছে। অনেকে জেলে মারা গেছেন। বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার জীবনের বিনিময়ে কাউকে ক্ষমা করতে পারব না। দুই মামলায় খালাস পেয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় মির্জা আব্বাসকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজের আদালত এ রায় দেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১২টার পর মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির হন। এ সময় তার সহধর্মিণী মির্জা আফরোজা আব্বাস ছিলেন। দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। পরে আব্বাসের উপস্থিতিতে আদালত এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন। রায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দেন। এর আগে গত ২২ আগস্ট আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় গত বছরের ২২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য গত ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সবশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় দফায় এ মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেন আদালত। পরবর্তীতে এ মামলা রায় থেকে উত্তোলন করে ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য রাখেন।

জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আসামি করে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন বিশেষ জজ আদালত-৬ (জেলা ও দায়রা জজ) এর তৎকালীন বিচারক তানজীনা ইসমাইল মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা বাতিল করেন। এ মামলায় বিচার চলাকালীন আদালত বিভিন্ন সময়ে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ ছাড়া মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

সারাবাংলা/ইউজে/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর