‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তীর্থভূমি’
২৯ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তীর্থভূমি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রাচীন তীর্থস্থান শঙ্করমঠ ও মিশন পরিদর্শনে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাম্প্রদায়িক ফ্যাসাদ তৈরিতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সবসময় ব্যস্ত ছিল জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য তীর্থভূমি। এখানে সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে আসছে যুগের পর যুগ। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সবসময় সাম্প্রদায়িক ফ্যাসাদ তৈরিতে ব্যস্ত থেকে জাতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহে ব্যস্ত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে বলেই আজ তারা দেশছাড়া। সীতাকুন্ড তথা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময় জোরদার ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় একটি জাতীয় তীর্থস্থান। প্রতিবছর লাখ লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখানে দর্শন করেন। দেশ-বিদেশে এ সীতাকুন্ডের আলাদা পরিচিতি আছে। ভবিষ্যতে আমরা এখানে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করব। নতুনভাবে সাজিয়ে তুলব চন্দ্রনাথ ধামকে। এখানে কোটি মানুষের মিলন ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।’
এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, উপজেলা সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, সদস্য ইউছুফ নিজামী, শামসুল আলম আজাদ, পৌরসভার আহবায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব সালেহ আহম্মেদ ছলু, আবুল মনসুর, পৌর যুবদলের আহবায়ক অমলেন্দু কনক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মামুন চৌধুরী ও মহিন উদ্দিন মহিন উপস্থিত ছিলেন।
আট বছর কারাবন্দী থাকার পর গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির এই নেতা। আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা ছিল। সব মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। এর পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতা-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একের পর এক মামলা করা হয়।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম