Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিদ্যুতের মিটার রেন্ট ও ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহারের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩১ আগস্ট ২০২৪ ২২:৪১

খুলনা: বিদ্যুতের অবৈধ মিটার রেন্ট ও ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহারের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে ওজোপাডিকো। যার অধীন খুলনায় ২০১৫ সালে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়। প্রিপেইড মিটার স্থাপন কালে ওজোপাডিকো’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিনামূল্যে এ মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। এ বাবদ কোনো মূল্য নেওয়া হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করলাম যে, কিছুদিন যেতে না যেতেই সংস্থাটি মিটার প্রতি আবাসিক মিটারে মাসে ৪০ টাকা এবং বাণিজ্যিক মিটারে ২৫০ টাকা হারে ভাড়া গ্রহণ করা শুরু করল, যা গ্রাহকদের সাথে রীতিমত মিথ্যাচার ও প্রতারণা। খুলনা নাগরিক সমাজসহ অন্যান্যদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন যে, মিটারের মূল্য সমন্বয় হওয়ার পর আর কোনো মিটার ভাড়া নেওয়া হবে না।

এতে উল্লেখ করা হয়, মিটার স্থাপনের সময় আবাসিক মিটারের ক্রয়মূল্য ছিল ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক মিটারের মূল্য ছিল ১৪ হাজার টাকার মতো। অথচ, গত ৮ বছর ধরে উল্লিখিত হারে মিটার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। সংস্থাটি এর আগে খুলনায় ৬১ হাজার আবাসিক এবং দুই হাজার বাণিজ্যিক মিটার স্থাপন করেছে। এই বিশাল সংখ্যার মিটার থেকে লাগাতারভাবে অতিরিক্ত মিটার ভাড়া গ্রহণ করা হচ্ছে, যা শুধুমাত্র বাড়ির মালিকদেরই নয়, সিংহভাগ ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াদের ঘাড়ে এসে পড়ছে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষকেই এর দায়ভার নিতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সময় সংস্থাটি আগের এনালগ মিটার খুলে নিলেও তার জামানত/মূল্য সমন্বয় করা হয়নি। পরিতাপের বিষয়, এ ব্যাপারে সংস্থাটি নির্বিকার। একদিকে গ্রাহক ব্যবহৃত বিদ্যুতের ওপর ভ্যাট প্রদান করছে, যা সংবিধিবদ্ধ। অন্যদিকে বিদ্যুতের চার্জ বাবদ মোট চার্জ হিসেবে অর্থ নেয়ার পরও ডিম্যান্ড চার্জের নামে একটি বিশাল অংকের টাকা নিচ্ছে সংস্থাটি।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মোট চার্জ ২৫.১১%, ডিম্যান্ড চার্জ ১৬.৮%, ভ্যাট ৪.৭৬%; অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকায় গ্রাহকের খরচ হচ্ছে ৪৬.৬৭ টাকা। এর উপর বাড়তি মিটার ভাড়া। একদিকে ভ্যাট, যেটি প্রনিধানযোগ্য। অন্যদিকে মোট চার্জ, মিটার ভাড়া, আবার ডিম্যান্ড চার্জ।

এতে সংস্থাটি কর্তৃক মিটার ভাড়া এবং ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহার, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সময় খুলে নেওয়া এনালগ মিটারের জামানত/মূল্য ফেরৎ/সমন্বয় করার বিষয়ে উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ ফ ম মহসীন, সদস্য সচিব অ্যাড. মোহাম্মদ বাবুল হাওলাদার, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, সমাজকর্মী শাহ্ মো. লায়েক উল্লাহ, খ ম শাহীন হোসেন, সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সারাবাংলা/পিটিএম

ডিমান্ড চার্জ প্রত্যাহার মিটার রেন্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর