Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপিল বিভাগে জামায়াতের আবেদনের শুনানি ২১ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩০

ঢাকা: রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদনের শুনানি আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন চেম্বার জজ আদালত।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এর আগে আপিল বিভাগে যে আপিল মামলাটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হয়েছিল এটার পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয়েছে। আজকে আমরা চেম্বার আদালতে বলেছি, যে সমস্ত কারণে একটি মামলা পুনরুজ্জীবন করা যায়-এটা আপিল বিভাগের রুলস-২০ এ বর্ণনা করা আছে। এই রুলস-২০ অনুযায়ী আমরা দরখাস্ত করেছিলাম। আজ সেই দরখাস্তের শুনানি হয়েছে। চেম্বার জজ আগামী ২১ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন।

এর আগে, আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত (রিস্টর) করতে আবেদন করা হয়।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

পরে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন।

রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।

এরপর জামায়াতের তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

জারি করা সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ এ রায় দেন।

তবে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী নিয়মিত আপিল করে।

এরপর ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামী টপ নিউজ শুনানি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর