‘শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা বিদেশ কী করেন’
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৫
ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা বিদেশ থাকেন। তারা সেখানে কী করেন? কোথায় চাকরি করেন? কী তাদের টাকার উৎস? কাউকে জানানো হয়নি। দেশের টাকা লুট করে তারা বিলাসিতা করছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে বিজনেস করছেন। কোথায় পেয়েছেন সেই টাকা?
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার মেঘা প্রজেক্টের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এটি আমার কথা না। শেখ হাসিনার শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, কীভাবে শেখ হাসিনা লাখ লাখ কোটি পাচার করেছেন।’
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘নিজেদের পার্সেন্টেজ নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীকে সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমকে জোর করে নিজেদের করে নেওয়া হয়েছিল। সত্যিকারের মালিককে জেলে ঢুকিয়ে আওয়ামী লীগের লোককে বসানো হয়েছিল।’
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো গণতান্ত্রিক দেশ। যে হাসিনা দেশের শিশু কিশোরদের হত্যা করেছে, দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, দেশের বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ ধ্বংস করেছে, জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, সেই হাসিনাকে আপনারা সমর্থন দিলেন? যে হাসিনা নিজের লোককে বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দেশকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, এমন এক ব্যক্তিকে আপনারা আশ্রয় দিলেন? আপনারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়েও বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটুও মায়া হল না? আপনাদের মানবতা জাগ্রত হল না?’
রিজভী বলেন, ‘যে ব্যক্তিটি দেশের অগণিত মানুষকে হত্যা করল, রাষ্ট্রকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করল, আজকে তাকেই আপনারা সমর্থন করছেন। তাহলে মানুষ কি করে বুঝবে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু? আসলে ভারতের বাংলাদেশ বা এদেশের জনগণের প্রয়োজন নেই, তাদের প্রয়োজন শেখ হাসিনাকে। কারণ, তাকে দিয়ে ভারত তাদের ফায়দা লুটতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, কিন্তু শেখ হাসিনার ভয়ে তার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। শেখ হাসিনা আমাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে, আমরা কারাগার থেকে বের হয়ে আবার এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন থেকে আমরা পিছপা হইনি।’
জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সফু, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, প্রচার দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিদুজ্জমান ডাবলু, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা সোহেল রানা, মো. সাইফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন আহমদ, আব্দুল বারেক শেখসহ অনান্যরা।
সারাবাংলা/ইআ