‘তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে বিএনপি’
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১১
ঢাকা: অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংবিধানে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে বিএনপি।
ধারাবাহিক মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মালিকানা এদেশের মানুষের আর স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন তার ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ১৯৯৬ সালে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করতে দলীয় সরকারের পরিবর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করেছিল। কিন্তু ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে, জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার সেটা সংবিধান থেকে মুছে দিয়েছিল। আমরা জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে আবারও সংযুক্ত করব।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করে। মানুষের নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা, শান্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য করার অধিকার, তরুণ ও যুবকের কর্ম সংস্থান, নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র-গোষ্ঠী, সমতল, পাহাড়ি নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা, বিচার আইন ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, সকলের জন্য স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা, কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি এবং সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করাই বিএনপি রাজনীতির অগ্রাধিকার।’
তিনি বলেন, ‘যে বাড়িতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাস করেছেন, যে বাড়িতে আমার ও আমার ভাইয়ের শৈশব কৈশোরের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যে বাড়ি আমার মায়ের সংসারের সূচনা আর বৈধব্যের বেদনার স্বাক্ষী সেই বাড়ি থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কতটা অসম্মানজনক ও অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে সেটা দেশবাসী দেখেছে। বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ভাইকে নিদারুণ অবহেলায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে দলের তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে, পরিবার-পরিজন বিসর্জন দিয়ে, ব্যবসা চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে।’
‘তারপরও আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করি না। সুতরাং আজ হিংসা নয়, বরং দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের মাধ্যমে অতীতের সব অন্যায়ের জবাব দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ বঞ্চনা সহ্য করে বিএনপি আজ জনগণের যে আস্থা আর ভালোবাসা অর্জন করেছে দলের কিছু বিপথগামীদের হঠকারিতায় মানুষের সেই আস্থা আর প্রত্যাশার জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না সেটা তিনি যেই হোন না কেন’— বলেন তারেক রহমান।
কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিত করুন, প্রতিরোধ করুন, দল তাদের শুধু বহিষ্কারের অঙ্গীকারই নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিচ্ছে।’
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম