‘দাম্ভিকতার কারণে আওয়ামী লীগ আজ গণধিকৃত’
২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দাম্ভিকতা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ আজ গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নুর আহমদ সড়কে নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে আন্দোলন-সংগ্রাম এবং সাম্প্রতিক বন্যায় নিহতদের স্মরণে এ কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর ধরে বিএনপির আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হাসিনা সরকার হত্যা ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিল। সারা দেশ ছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের চারণক্ষেত্র। কিন্তু ছাত্র-জনতার দুর্বার প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছে।’
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দাম্ভিকতা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। জনবিচ্ছিন্ন শেখ হাসিনা গণধিকৃত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। একইভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামী লীগও গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের জনগণের মন জয় করে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্বৈরাচার হাসিনার পতনে আমাদের প্রথমিক বিজয় অর্জন হয়েছে। পরিপূর্ণ বিজয়ের জন্য জনগণের সমর্থন আদায় করে নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে।’
নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। এ কারণেই শত প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়েও দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের কাছে বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তবে দেশ এখন ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। হাজারও শহিদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে গণঅভুত্থানের সাফল্য নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে সংহত করে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শান্তির সমাজ গড়তে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
মাহফিলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান ও তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া করা হয়।
এ সময় নগর বিএনপির নেতা এস কে খোদা তোতন, হারুন জামান, নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, কামরুল ইসলাম, মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, বাবুল হক, মো. আজম, আবদুস সাত্তার সেলিম, হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, নুরুল আবছার, জাকির হোসেন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, নগর কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, নগর জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু ও সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ শিপন, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক ও সদস্য সচিব আব্দুল আজিজ ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
