Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড় থেকে সরতে ৭ দিন সময়, অন্যথায় অভিযান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২১

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন। ছবি: পিআইডি চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পাহাড় কেটে ঘর বানিয়ে যারা বসবাস করছেন, তাদের সরে যাওয়ার জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের সরানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি এলাকায় পাহার কাটার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধসে পড়ে। এতে অনেক মানুষ হতাহত হন। এ ছাড়া বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাস করা হয়েছে।’

‘এসব বিবেচনা করে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোনো ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না, তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোনো পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না,’— বলেন ফাহমিদা খানম।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানমের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের একটি টিম নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের উত্তর লেকসিটি, হারবাতলী, শাপলা আবাসিক এলাকা এবং লতিফপুর ওয়ার্ডের মিরপুর এলাকায় পাহাড় কাটার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরিদর্শনের সময় দুজনকে পাহাড় কাটতে দেখে তাদের আটক করা হয়। তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে ছিল। এ সময় তারা দাবি করেন, ভূমি মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে তাদের একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং আরেকজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালক হাসান হাছিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

চট্টগ্রাম পাহাড় কাটা পাহাড় দখল পাহাড়ে অভিযান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর