Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবাজারে কাউন্সিলর চামেলীর নেতৃত্বে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:২০

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবাজারে একটি ‘সিন্ডিকেটের’ হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিকসহ এক শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী, তার স্বামী টেবু, চামেলীর ভাই শাহবাগ থানা বিএনপির পদপ্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা হয়।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

মারধরে আহতরা হলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভুঁইয়া, জাগোনিউজ টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক নাহিদ ভুঁইয়া এবং অন্য এক শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূইয়াকে কক্ষের মেঝেতে ফেলে মাথায়, পিঠে, কোমরে, পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাহিদকে দোতলায় মারার পর ছাদে তুলে পেটানো হয়। তিনি বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। অন্যদিকে এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের একটি আঙুলের অগ্রভাগ কেটে ফেলা হয়।

মারধরের এক পর্যায়ে আল সাদীর মোবাইল ছিনতাই করে আক্রমণকারীরা। অন্যদিকে, নাহিদের মোবাইল, মানিব্যাগ, বাইকের চাবি, প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আল সাদী ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি এবং আমার কলিগ নাহিদ ভাই বঙ্গবাজারে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটে কাপড় দেখতে গিয়েছিলাম। তখন মার্কেটের মালিকপক্ষের কেউ আমাদের চিনতে পেরে বলে, সজল ভাই ওপরে আছেন। তখন আমরা ওপরে গিয়ে দেখি, একটা পক্ষ দরজা ভাঙচুর করছে। তারা মার্কেটের অন্য পক্ষের লোক। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কাউন্সিলর চামেলীর ভাই স্বপন ও স্বামী টেবু।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন সজল ভাইয়ের অফিসে যাই, তখন টেবুর ও স্বপনের নেতৃত্বে উপস্থিত আমাদের সবার ওপর হামলা করা হয়। আমরা সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তারা হামলা করে। এমনকি আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আমাদের ওপর বেশি নির্যাতন করা হয়। বের হয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে আসি। পুলিশের সামনেও তারা আমাদের মারার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনো সাহায্য করেনি।’

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।

ঘটনার এক পর্যায়ে সেখানে পৌঁছান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তারা সাংবাদিকসহ অন্যদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

কাউন্সিলর চামেলী টপ নিউজ মারধর সাংবাদিক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর