৮০ লাখে নির্মাণ হচ্ছে কালভার্টের নিচে ড্রেন!
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৬
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি পৌরসভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে একটি ড্রেন। ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রশস্ত ড্রেনটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, সেই ড্রেনটিও আবার নির্মাণ করা হচ্ছে একটি সেতুর নিচে, যেটি নির্মিত হলে একটি ছড়ার গতিপথ বাধাগ্রস্ত করবে!
হ্যাঁ, এমন ঘটনাই ঘটেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভায়। শহরের খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজ সড়কের অপর্ণা চৌধুরী পাড়া এলাকায় ড্রেনটি নির্মাণ করছে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ।
এমন ‘অপরিকল্পিত উন্নয়নে’ হতবাক পৌরসভার বাসিন্দা। তারা বলছেন, পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের তদারকিতেই এমনটি ঘটেছে। তবে বিষয়টি অজান্তে হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকা দিয়ে প্রবাহিত একটি ছড়ার ওপর যোগাযোগের প্রয়োজনে নির্মিত হয়েছিল কালভার্ট। সেই কালভার্টের নিচ দিয়ে ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে। এতে ছড়ার পরিধি ছোট হয়ে পড়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেন তৈরি হলেও এই অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের ফলে ভারী বর্ষণে উলটো জলাবদ্ধতা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, চলতি বছর বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চার বার প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ি পৌরশহর। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ও বন্যার জন্য এমন অপরিকল্পিত উন্নয়নকেই দায়ী করছে নাগরিক সমাজ।
খাগড়াছড়ির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাংয়ের নির্বাহী পরিচালক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, কালভার্টের নিচে ড্রেন নির্মাণ অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফসল। বৃষ্টির মধ্যেই ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখেছি। তখন বোঝা যায়নি কী হচ্ছে। এখানে শহর মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে নাগরিকরা কিছুই জানে না। কিন্তু জনবান্ধব শহর গড়তে হলে শহরায়নের পরিকল্পনা জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি পৌর প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, আরও চার-পাঁচ মাস আগেই ড্রেনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে জানতে পেরেছি। আমি আমি প্রকৌশল বিভাগের সবাইকে ডেকেছি। তারা কীভাবে এটি করল, জানতে চেয়েছি। আমি সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেব।
সারাবাংলা/টিআর