Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এসকে সিনহাকে বের করে বিচার বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আ. লীগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫২

ঢাকা: দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার বিভাগের সংস্কার চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি এ এম ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বুধবার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

‘বিচার বিভাগের সংস্কার ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পর্যবেক্ষণ’ শিরোনামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গত ১৬ বছরে বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অনেক বিচারক রাজনৈতিকভাবে বিচার করেছেন। আইনজীবী সিন্ডিকেটকে প্রশয় দিয়েছেন। এদের অপসারণ করতে হবে।

বার সভাপতি বলেন, গত সরকারের আমলে অনেক ভালো বিচারক নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ৬০/৬২ জন বিচারককে গুরুত্বপূর্ণ বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। এদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এত পর্যবেক্ষণ করার কিছু নাই। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

তিনি বলেন, নতুন বিচারক নিয়োগ নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিচারক নিয়োগের কোন নীতিমালা করা হয়নি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অবশ্যই মেধাবী, সৎ ও যোগ্যদের বিচারক নিয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ক্যান্সার রোগী বানিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ব্যাংককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নেয়। এ জন্য বিচার বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল যাতে কেউ সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কোন আদেশ বা রায় না দেয়।

বার সভাপতি বলেন, গত ১৬ বছরে দুদক কিছু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন অনেক দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির কথা মিডিয়ায় আসছে। গত ১৬ বছরে দুদক আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেনি। এটা এখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। দুদকের কৌসুলিরা এর সহযোগী।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এখনো দুদকে রয়ে গেছেন। উনি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিরোধিতা করেছেন। ওই আইনজীবীকে পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে কত লোক মারা গেছে তার সংখ্যা এখনো নিরূপণ করা হয়নি। অন্তবর্তী সরকারকে দ্রুত এই সংখ্যা প্রকাশ করা উচিত।

বার সভাপতি বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী কোন কোন বিচারককে ফোন করে রায় ঘোষণায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তার ফোন রেকর্ড প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির রিপোর্ট এখনো প্রকাশ করা হয়নি। দেশের টাকা কারা চুরি করল সেটা জনগনের জানা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে শতাধিক আইনজীবী ও সাংবাদিক ছিলেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এসকে সিনহা টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর