পূবাইলে চুমকিসহ ১৪৫ জনের নামে মামলা
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২১
গাজীপুর: ২০১৩ সালে শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করার সময় বাধা ও অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত করার অভিযোগে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ১৪৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পূবাইল থানায় মামলাটি করেছেন বিএনপির নেতা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন বিন্দান এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে।
মামলার বাদি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় পূবাইল থানাধীন তালটিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির ৩০০-৪০০ নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করছিলেন। এ সময় মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালন করাকালীন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পূবাইল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পুরো শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি (৬০), পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান শিরিষ (৭০), পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ আল মামুন (৭০), ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুল হাসান বিল্লাল (৪৮), ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা (৫৬), পূবাইল থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার অপু (২৮), পূবাইল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলজার হোসেন টুটুল (৩৬),
পূবাইল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সোহেল রানা (৩৭), যুবলীগ নেতা বাছেদ আলী (৪৫), ছাত্রলীগ নেতা কাওছার হোসেন (২৮), আওয়ামী লীগ নেতা মোমেন (৪৫), যুবলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন (৪৫), যুবলীগ নেতা রাসেল (৪৮), সাবেক পূবাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ (৪৮), পূবাইল থানা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম (৪৫), পূবাইল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. মাসুদ (৪০), পূবাইল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আমিনুল ইসলাম (৪২), আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর খান (৫২), ঝন্টু খান (৪০), আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকারিয়া শেখ (৫২), ফারুক খান কমল (৪২), যুবলীগ নেতা বাবুল পাঠান (৪২),
পূবাইল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী আসিফ মোস্তফা (৪৩), কাজী মালেম মাহমুদ (৬৫), মো. শাকিল হাওলাদার জনি (৩৮), এমদাদ হোসেন সরদার (৬০), যুবলীগ নেতা মাসুদ সরকার (৩৫), ৪১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিপ্লব মোল্লা (৩২), আলাউদ্দিন ইসলাম খোকন (৫০), কাজী সফি উদ্দিন (৬০), আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মোবারক মাষ্টার (৪৫), ইসলাম উদ্দিন ভূইয়া (৪৫), মোহাম্মদ আলী ভূইয়া (৩৮), ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শাহিন (৩৬), মোক্তার হোসেন (৪৮), আফজাল হোসেন (৫৫), গাজীপুর মহানগর যুবলীগের সদস্য ইকবাল মাষ্টার (৪৮), ৪২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক ভূইয়া রুবেল (৩৫), পূবাইল থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম মাষ্টার (৫৩), মো. মেহেদী (২৮), আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল দেওয়ান (৩৫), আব্দুর রাজ্জাক (৫৫), আওয়ামী লীগ নেতা রহম আলী খন্দকার (৬০), আব্দুর রশিদ (৩০), ৪০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোলাপ হোসেন বাবু (৪২), আব্দুস সাত্তার (৪৫), পূবাইল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মামুনুর রশিদ ভূইয়া (৩৮), বেলায়েত হোসেন মোল্লা (৪৫), তোফাজ্জল মোল্লা (৪৫), রাজ্জাক (৫০), শাহেদ সরকার রাকিব (৩১), মোশারফ মন্ডল (৩৮), আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী (৬৫), পূবাইল থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নয়ন মিয়া (৩৫), লোকমান মোল্লাসহ আরো ৯০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
সারাবাংলা/ইআ