Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃহস্পতিবার সিইসির সংবাদ সম্মেলন, জানাবেন কবে বিদায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫২

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসন থেকে শুরু করে সব খাতেই আসছে একের পর এক পরিবর্তন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিবর্তন নিয়েও কথা হচ্ছে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই। অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাসের মাথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পদত্যাগের বিষয়ে মুখ খুলতে যাচ্ছেন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। পরে সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখবেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

পদত্যাগ কবে করবেন— জানতে চাইলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কাল (বৃহস্পতিবার) জানাব। কালকে বিস্তারিত জানাব। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় সংবাদ সম্মেলনে সব কিছু জানানো হবে।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কালকে (বৃহস্পতিবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাব।’

ইসি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার ইসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলার আগে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করবে। আর সেটি জানাতেই বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন সূত্র আরও বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি সিইসি হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এ অবস্থায় তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে বলে ধরে নিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যেই গতদ ২৪ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে একটি কলাম লিখেছেন সিইসি। ‘বিপ্লব ও ফরমান: সরকার ও সংবিধান’ শিরোনামের ওই কলামে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক সংকটে। আলোচনার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কমিশনের প্রধান হিসেবে পত্রিকায় লিখে জনগণকে অবহিত করাই সমীচীন মনে করছি।’

নিজেদের সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ওই লেখাতেও দিয়েছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি লিখেছিলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও সফল বিপ্লবোত্তর সাংবিধানিক পরিস্থিতিতে সংকটে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন হয়তো অচিরেই বিগত হবে। কিন্তু এতে সংকটের নিরসন হবে না। … ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অসম্ভব। এটাকে বলা হয় উভয় সংকট। ঘাড়ের ওপর ডেমোক্লিসের তরবারি। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ যখনই হোক না কেন, রাষ্ট্র ও সরকারের আইনগত ও সাংবিধানিক ভিত্তি মজবুত করতে হলে সফল বিপ্লবোত্তর উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একটি অসামরিক ফরমান জারি করে প্রচলিত সংবিধান স্থগিত বা পাশাপাশি বহাল রেখে অসামরিক ফরমানকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে অবস্থান প্রদান করে সাংবিধানিক বা আইনগত সংকট পরিহার করা প্রয়োজন।’

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

ইসি ইসির পদত্যাগ নির্বাচন কমিশন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি সিইসির পদত্যাগ সিইসির সংবাদ সম্মেলনে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর