শহীদি মার্চের স্লোগানে মুখরিত ঢাকার রাজপথ
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২২
ঢাকা: হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ঢাকার রাজপথে অনুষ্ঠিত হয়েছে শহীদি মার্চ। বাংলাদেশের পতাকা হাতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণ করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয় শহীদি মার্চ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের একমাসের মাথায় এই আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আবু বাকের মজুমদারসহ আন্দোলনের সমন্বয়কারা।
এদিন বেলা ৩টা থেকে হাজারে হাজারে শিক্ষার্থী এসে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হতে থাকেন। বেলা পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়ে নীলক্ষেত-সায়েন্সল্যাব-কলাবাগান-সংসদ ভবন-ফার্মগেইট- কারওয়ান বাজার-শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়।
শহীদি মার্চ-এ ছাত্র-জনতার হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়। ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশ্রহণে স্লোগানে স্লোগে মুখর ছিল ঢাকার রাজপথ।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সফল হোক সফল হোক, শহীদি মার্চ সফল হোক’, ‘শহিদদের কারণে, ভয় করি না মরণে’, আবু সাঈদ/শহিদের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘আজকের এই দিনে আবু সাঈদ/শহিদদের মনে পড়ে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
পদযাত্রা শেষে শহিদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন সমন্বয়কদের একজন সারজিস আলম। দাবিগুলো হলো—
১. গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে;
২. শহিদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে হবে;
৩. প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে;
৪. গণভবনকে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে;
৫. রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
ছবি: হাবিবুর রহমান, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম
টপ নিউজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুখরিত শহীদি মার্চ স্লোগান