ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই চান ঢামেকের সিনিয়র নার্স
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫২
ঢাকা: রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর আদর্শ পল্লী এলাকার ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স লুৎফা আক্তার।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লুৎফা আক্তার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলে উসমান গনি ও চাচাতো ভাই আক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লুৎফা বলেন, আমার স্বামী ও আমার চাকরির টাকা এবং ব্যাংকের ঋণ নিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনি। ৩৬/২ তৃতীয় তলা ৩/এ আদর্শ পল্লী উত্তর ইব্রাহিমপুরের দলিলদাতা ডেভেলপার নজরুল ইসলাম ফ্ল্যাটের সাব-রেজিস্ট্রি করে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর নামজারি করে কবলা দলিল বুঝিয়ে দেন। দলিল নম্বর ১০১৪০। এরপর থেকেই ওই ফ্ল্যাটে আমরা থাকছি। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ভুমিদস্যু জাকির ও নজরুল ইসলাম আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমারক প্রাণনাশ ও ফ্ল্যাট দখলের হুমকি দেন।
লুৎফা বেগম বলেন, সরকার না থাকার এবং পুলিশ ও প্রশাসন সক্রিয় না থাকার সুযোগ নিয়ে গত ৭ আগস্ট প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় নজরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন তার ছেলে পিয়াস, স্ত্রী লাভলী আক্তার, সাইফুল ইসলাম ও আবু সাঈদসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে নিয়ে আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। আবার আমার ফ্ল্যাটে লুটপাট চালায়। তারা আমার গলায় থাকা দুই ভরি সোনার চেইন ও নগদ চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা জোর করে নিয়ে যায়। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাদেরও হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আমরা নিরপায় হয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ফোন করি। খবর পেয়ে সেনা বাহিনীর লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে, যা বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে আছে।
ঢামেক হাসপাতালে এই সিনিয়র নার্স বলেন, এ ঘটনার পর রাজধানীর কাফরুল থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো অভিযোগ বা মামলা নিতে টালবাহানা করে। নিরুপায় হয়ে গত ২৮ আগস্ট কাফরুল থানায় ১৪২৭ নম্বর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। ৩১ আগস্ট তারিখে একই থানায় ১৬৯৭ নম্বর জিডি করি। কিন্তু পুলিশ কোনো তৎপরতা বা পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন আরও ক্ষুব্ধ হয়ে হুমকি দিয়ে আসছেন। বাসার গেট ভেঙে ফেলছেন, বাসার মামনে এসে ভীয়ভিতি দেখিয়ে আসছেন তারা।
জরুরি পদক্ষেপের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে লুৎফা বলেন, এ অবস্থায় আমি নিজের ও আমার ছেলেদের জীবননাশের আশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই সন্ত্রাসী ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেস্টাসহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর
ঢামেক হাসপাতাল ফ্ল্যাট দখল ভয়ভীতি প্রদর্শন ভূমিদস্যু লুৎফা আক্তার সিনিয়র স্টাফ নার্স