লকারে থাকা জোবায়দা পরিবারের অলংকার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:১৪
ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক রাজধানীর ধানমন্ডি শাখার দুটি লকারে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান, তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর এক কেজি ৬৭০ গ্রাম ওজনের সোনার অলংকার (সোনার চেন, হাতের বালা ও আংটি) তাদের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হিসাবধারী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির ওই শাখার জিম্মায় ছিল। আদালত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জিম্মা বাতিল করে হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
শাহিনা খানের আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া বলেন, জোবায়দা রহমান, শাহিনা খান ও ইকবাল মান্দ বানুর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় দুটি লকার ছিল। সেখানে তাদের সোনার অলংকার ও রুপা রাখা ছিল। ২০০৭ সালে ধানমন্ডি থানার জিডির পরিপ্রেক্ষিতে লকার দুটি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় দেয়। আমরা লকারগুলোর হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা কাস্টমারদের অনুকূলে চালু করতে আদালতে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, আবেদনকারী শাহিনা খান নিজে, তার মা ইকবাল মান্দ বানু ও বোন জোবায়দার যৌথ নামে বরাদ্দ পাওয়া লকার চালুর আদেশ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা ধানমন্ডি মডেল থানা একাধিকবার প্রতিবেদনও দাখিল করেন।
ধানমন্ডি মডেল থানার দাখিলি প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, জিডি মূলে জব্দ করা আলামতের বিষয়ে আর কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই। ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, জব্দ আলামত অলংকার ব্যাংকটির ওই শাখার কাস্টডিতেই জমা আছে।
আদালত বলেন, সার্বিক পর্যালোচনায় জব্দ করা আলামত বিষয়ে আর কোনো মামলা নেই এবং আবেদনকারী কথিত লকার পরিচালনাকারীদের অনুকূলে তা চালু করার আবেদন করেছেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষেরও কোনো আপত্তি নেই। ফলে ব্যাংকটির ধানমন্ডি শাখায় জব্দ করা আলামতের জিম্মা বাতিল করা হলো।
অন্য কোন আদালতের স্থগিত বা ফ্রিজ আদেশ না থাকাসাপেক্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ধানমন্ডি শাখার হিসাব নম্বরটির অধীনে যৌথ লকার ৩৬/২৩ ও ৩৬/২৪ অতিসত্বর ওই লকারগুলোর হিসাবধারী তথা পরিচালনাকারী তথা গ্রাহকদের অনুকূলে চালু করতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর