Friday 16 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই বর্জ্য


২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৪০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা :  আধুনিক সমাজব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই-বর্জ্য। বাতিল হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফটোকপি মেশিন, মাইক্রোওভেন, ব্যাটারিসহ নানা ইলেক্ট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু আইনি কাঠামো জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

আজ  ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে “ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামো: পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা” শীর্ষক এক সেমিনারের এ কথা বলা হয়।

সেমিনারে জাননো হয়, ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটির স্টেপ ইনিশিয়েটিভের তথ্যানুযায়ী ২০১২ সালে বিশে^ ৪৫.৬ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে এর পরিমান হবে ৯৩.৫ মিলিয়ন টন।

মানুষ ও পরিবেশের জন্য বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেই এখন আইন করে নিয়ন্ত্রিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে সেমিনারে বক্তারা জানান। তারা বলেন, ই-বর্জ্য যে কোন সাধারণ পৌর বর্জ্য থেকে অধিক ক্ষতিকর। সঠিক ও নিরাপদভাবে ই-বর্জ্য না ফেলা হলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে, কারণ ই-বর্জ্যে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ যেমন লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, ব্রমিনেটেড ফ্লেম রির্টাডেন্ট, বেরিলিয়ামসহ নান পদার্থ মাটি, পানি ও বাতাসের সাথে মিশে মানুষের জন্য এক বিষাক্ত পরিবেশের তৈরি করে বিশেষত যারা এগুলো সংগ্রহ, নাড়াচাড়া, জমিয়ে, ভাঙাচোরা করে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম-এর মহাসচিব খায়রুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ। সেখানে তিনি পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো এবং পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভবিষৎ উন্নয়নের জন্য আইনি কাঠামোতে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী থাকা প্রয়োজন সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

সারাবাংলা/জেএ/একে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর