আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ প্রতিবন্ধী রাসেলের চিকিৎসা ব্যাহত
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩১ | আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:০৯
ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক দফায় দেশ থেকে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। আনন্দ মিছিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বের হয়ে আসেন রাস্তায়। এ সময় রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রতিবন্ধী কর্মী গুলিবিদ্ধ হন শেরেবাংলা নগর থানার সামনে। মানসিক প্রতিবন্ধী মো. রাসেল ভালোভাবে বোঝেন না সবকিছু। আহত রাসেলকে উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা নিয়ে যান জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের বিভাগে। সেখানে গুলি বের করানোর পর তাকে শহীদ সহরোওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে জাতীয় কিডনী রোগ ও ইউরোলজি ইন্সটিটিউটে রাসেলের অপারেশন সম্পন্ন হয়।
চিকিৎসকরা জানান, রাসেলের মূত্রনালী ও রেকটামের কিছু অংশ ছিড়ে গেছে। প্রাথমিক অপারেশনের পর ক্ষত স্থান শুকালে আবার তিন মাস পরে আবারো অপারেশন হবে তার। অপারেশনসহ হাসপাতালের যাবতীয় খরচ সরকারি ভাবেবহন করা হলেও ঔষধ-পথ্যের খরচের ভার এসে পড়েছে মা মোছা রত্না খাতুনের ওপর। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে তাদের।
রত্না খাতুন ও রফিকুল ইসলাম দম্পতির সন্তান মো. রাসেল। জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী রাসেল কে নিয়ে মা রত্না খাতুন শেরপুরের নালিতাবাডি থেকে ঢাকায় আসেন। রফিকুল ইসলামের সাথে নেই কোনো যোগাযোগ। সংসারের হাল ধরতে মামার সাথে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা হলের ক্যান্টিনে পাঁচ হাজার টাকা বেতনে প্লেট ধোয়ার কাজ করতেন রাসেল।
৫ তারিখে জনতার আনন্দ মিছিলে যোগ দিলে মিছিল শেরেবাংলা নগর থানার সামনে পৌছালে গোলাগুলির মাঝে পড়েন। গুলিটি রাসেলের কোমরের ডান পাশে লেগে আটকে যায়। তারপর এই হাসপাতাল থেকে ঐ হাসপাতাল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তিতে খোজ পেয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতালে এসে ছেলের এই অবস্থা দেখেন মা রত্না খাতুন।
বর্তমানে মায়ের সাথে জনতা হাউজিংয়ের একটি ভাড়া বাসায় আছেন মো রাসেল ও তার মা। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক তার সহযোগিতা করছে এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে বলেও জানিয়েছেন মো রাসেলের মামা আবু মুসা। তবে এখনো অনেক টাকার ঔষধ কেনা লাগবে এবং আরও একটা অপারেশন করতে হবে বলে দুশ্চিন্তায় রাসেলের পরিবারের লোকজন।
সারাবাংলা/ইআ