গাজীপুরে ব্যতিক্রমী কাঁঠাল নিয়ে কৌতূহল, আগ্রহী বিজ্ঞানীরাও
৫ জুন ২০১৮ ১৮:২৯
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
গাজীপুর: দূর থেকে দেখতে অনেকটা পলাশ ফুলের মতো। তবে রঙটা হলদে। কাছে গেলেই অবশ্য ভুলটা ভাঙে। এ তো কাঁঠাল! গাজীপুরের উত্তর সালনার রমিজ উদ্দিনের বাড়ির একটি গাছে দেখা যাচ্ছে এমন কাঁঠাল। খেতে সুস্বাদু হলেও একটু বড় হলেই এর কোষগুলো বাইরে বেড়িয়ে যায়। দেখতে তখন মনে হয় থোকা থোকা ফুলের মতো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এই কাঁঠাল নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। শত শত মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছেন রমিজ উদ্দিনের বাড়িতে। কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোগ অথবা জিনগত কারণে এমনটি হতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
রমিজ উদ্দিন জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে কাঁঠালের গাছটি রোপণ করেন তিনি। কয়েক বছর পর সেই গাছে কাঁঠাল ধরে। শুরুতে এই কাঁঠাল খেতেও বেশ সুস্বাদু ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই গাছের কাঁঠাল বড় হলে সেটির কোষ আর আবদ্ধ থাকে না। কোষগুলো বাইরে বেড়িয়ে থোকায় থোকা ফুলের মতো ঝুলে থাকে। এ অবস্থায় কাঁঠালগুলো আর খাওয়ার উপযোগী থাকছে না।
তিনি আরো জানান, গাছে যথারীতি মুচি হয় এবং বড় হয়। কিন্তু পাঁকার সময় হলে কাঁঠাল ফেটে গিয়ে এর কোষগুলো বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে এখন এই গাছের কাঁঠাল তারা আর খেতে পারছেন না।
স্থানীয়রা বলছেন, এই প্রথমবার তারা এমন ব্যতিক্রমধর্মী কাঁঠাল দেখছেন। তাই লোকজনের মুখে শুনে এখানে দেখতে এসেছেন।
ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের এই কাঁঠাল নিয়ে আগ্রহী কৃষি বিজ্ঞানীরাও। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, কাঁঠালের স্বাভাবিক যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা থেকে এই গাছের কাঁঠাল আলাদা। এটি কাঁঠাল গাছের কোন নতুন রোগ অথবা জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এমনটি হতে পারে বলে ধারণা করছি। তবে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এর সমস্যা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন এই কৃষি বিজ্ঞানী।
সারাবাংলা/টিএম