Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪০

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা অধিকাংশ মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এ সময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। গণহত্যা মামলার অন্য যারা আসামি রয়েছেন তারা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রধান অপরাধী দেশ থেকে পালিয়েছেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়া আমরা শুরু করব। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী প্রত্যার্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এ চুক্তিটি হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশে গণহত্যার প্রধান আসামি হবেন মনে করি। অধিকাংশ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। সুতরাং এ প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে তাকে আইনগতভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করব।’

নিজের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এভিডেন্স কালেক্ট করা। অপরাধটা গোটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সব জায়গায় একইসঙ্গে সংঘটিত হয়েছে। প্রত্যেকটা জায়গায় একটা কমন ইনস্ট্রাকশন ছিল, গুলি করে সব মেরে ফেলা। এ অপরাধের যে আলামতগুলো সেগুলো সংগ্রহ করে কম্পাইল করা, এটা একটা চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আসামিরা এখনো পলাতক। প্রধান আসামি দেশত্যাগ করেছেন। অনেকে দেশত্যাগের চেষ্টায় আছেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।’

গণহত্যার আলামতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি হচ্ছে, যেহেতু ঘটনাগুলো তাজা, এ মামলায় যারা আসামি হবেন তারা এখনো বাংলাদেশে আছেন। অনেকে দায়িত্বেও আছেন। তারা এ আলামতগুলো ধংস করার চেষ্টা করবেন। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব এ আলমতগুলো দ্রুত সংরক্ষণ করা, দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো সংগ্রহ করা। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার হাতে নিয়ে আসা। যেন এ আলামতগুলো আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে পারি।’

তিনি সবধরনের আলামত তদন্ত সংস্থা বা প্রসিকিউশনের কাছে পৌঁছানোর জন্য ছাত্র-জনতাসহ ভুক্তভোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এটা এমন একটা বিচার হবে যে, বিচারের পর শহিদ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বাদীপক্ষসহ আসামিপক্ষও মনে করবে তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়েছে।’ আসামিদের প্রতি জুলুম করা হবে না, আবার ছাড়ও দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অপরাধগুলোর মাত্রা এতটাই ভয়াবহ যে তদন্তকালে আসামিদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন হবে। নিশ্চয়ই আমরা অপরাধীদের গ্রেফতার চাইব। আমাদের প্রথম চেষ্টা থাকবে যারা সম্ভাব্য অপরাধী তারা যাতে আদালতের জুরিকডিকশনের বাইরে চলে যেতে না পারেন। সেটা ঠেকানোর চেষ্টা থাকবে।’

আইন সংশোধনের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা সরকারের সঙ্গে বসে এগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব।’

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

চিফ প্রসিকিউটর টপ নিউজ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর